প্রাকৃতিক উপাদান মধু বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপাদানে ভরপুর। ত্বকের পাশাপাশি চুলের যত্নেও এর কার্যকর ভূমিকা রয়েছে। আয়রন, ক্যালসিয়াম, কপার, ফসফরাস, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম সমৃদ্ধ মধু চুলের প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। জেনে নিন চুলের যত্নে মধু ব্যবহারের কিছু উপকারিতা সম্পর্কে।
চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়:
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ মধু নিয়মিত ব্যবহারে চুল দ্রুত লম্বা হয়। নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে মধু।
মাথার ত্বকের চুলকানি দূর করে:
মধুতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-সেপ্টিক উপাদান। এই দুই উপাদান চুলের গোড়ায় থাকা জীবাণু দূর করে। ফলে খুশকি ও চুলকানি থেকে দূরে থাকা যায়।
চুল ঝলমলে করে:
হেয়ার প্যাকে মধু মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করুন চুলে। বিবর্ণ চুলে প্রাণ ফিরবে। চুল হবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও ঝলমলে।
চুলের ভেঙে যাওয়া রোধ করে:
কেরাটিন এমন এক ধরনের প্রোটিন যা চুলের যত্নে আবশ্যক। মধুতে প্রচুর পরিমাণে কেরাটিন রয়েছে। চুলের যত্নে মধু ব্যবহার করলে চুলের ভেঙে যাওয়া রোধ করা সম্ভব।
কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে:
মধু চমৎকার প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে চুলের যত্ন নেয়। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যামিনো অ্যাসিড চুলে নিয়ে আসে সিল্কি ভাব।
মধুর কয়েকটি হেয়ার প্যাক:
# মধুর সঙ্গে নারিকেলের তেল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন। ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করে। সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করবেন প্যাকটি।
# ২ ভাগ মধু ও ৫ ভাগ আপেল সিডার ভিনেগার একসঙ্গে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান। আধা ঘণ্টা পর ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করুন এই প্যাক।
# পাকা কলা চটকে অলিভ অয়েল ও মধু মিশিয়ে চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগান। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
# মধু ও অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখুন। ১ ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু ব্যবহার করে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।